Header Ads

Header ADS

স্টেফ হকিং সম্পর্কে যে বিষয়গুলো আপনার অজানা



                               

০১. স্টিফেন হকিং মনে করেন না ঈশ্বর এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। সে জন্যেই তিনি ভাগ্য, মৃত্যুর পরের জীবন অথবা স্বর্গ এসব জিনিসে বিশ্বাস করেন না। যদিও তিনি সরাসরি কখন এই ব্যাপারে কথা বলতে চান না। তার ভাষ্য মতে গড থাকতে পারে…! কিন্তু মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করার জন্য বিজ্ঞানের কোন ঈশ্বরের দরকার হবে না। 


০২. বিখ্যাত কার্টুন সিম্পসন এর বেশ কিছু পর্বে হকিং কে দেখানো হয়েছে। হকিং এর ভাষ্যমতে এরপর অনেকেই মনে করে তিনি শুধু কার্টুনের একটি চরিত্র মাত্র।


০৩. যেহেতু তিনি কথা বলতে পারেন না তাই তার ভয়েস সিনথেসাইজার ব্যবহার করতে হয়। এটি এমন একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে তার গলার কম্পাঙ্ক অথবা চোখের পাতার নাড়াচাড়ার মাধ্যমে তিনি কম্পিটারে লেখেন এবং ভয়েস জেনারেট করতে পারেন। মজার বিষয় হল – হকিং যদিও ব্রিটিশ তার ভয়েস সিনথেসাইজার এর আউটপুট কিন্তু হয় আমেরিকান বাচন ভঙ্গিতে। এবং তার এই বাচন ভঙ্গিও কপিরাইট করা।

০৪. হকিং শুন্য মধ্যাকর্ষনের একজন বিশাল ফ্যান। তার অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন শুন্য মধ্যাকর্ষনে ভেসে থাকার অনুভুতি কি রকম হতে পারে।
                                                        click here

০৫. তিনি একটি বাচ্চাদের বইয়েরও লেখক – যা অনেকই জানেন না। হকিং এবং তার মেয়ে লুসি “George’s Secret Key to the Universeনামে একটি বই ২০০৭ সালে পাব্লিশ করেন। এটি একটা সিরিজ প্রকাশনা এবং তার বিষয়বস্তু ছিল একজন তরুন নভোচারীকে নিয়ে।


০৬. মাত্র ২১ বছর বয়সে তাকে জানিয়ে দেয়া হয় তার আয়ু আর মাত্র কয়েক বছর আছে। তিনি জটিল লু গে রিগস ( Lou Gehrig’s disease) রোগে আক্রান্ত। যদিও মাত্র কিছুদিন আগে তিনি তার ৭২তম জন্মদিন পালন করলেন!


০৭. ব্ল্যাকহোল নিয়ে তার ধারনা আমাদের থেকে অনেক আলাদা। তিনি মনে করে্ন আমরা ব্ল্যাকহোল কে বাস্তবে যা ভাবি এটি আসলে তা নয়। সাধারনত আমরা জানি ব্ল্যাকহোলের ইভেন্ট হরাইজন থেকে বস্তু অথবা আলো কিছুই ফেরত আসতে পারে না। কিন্তু হকিং মনে করেন এটি খুব সাময়িককারন ব্লাকহোল রেডিয়েশন আকারে এই জিনিসগুলো আবার বিকিরিত করে দেয়।


০৮.  যৌবনে তাকে আইন্সটাইন বলে ডাকা হত। এর কারন আর কিছুই নয় – তার সমস্যা সমাধানের দৃষ্টিভংগি এবং নতুন জিনিস জানার আগ্রহ দেখে। যদিও তখন হকিং এর রেজাল্ট ছিল মোটামুটি মানের, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি তার অক্সফোর্ড স্কলারশীপ এর পদার্থ বিজ্ঞানে অসামান্য রেজাল্ট করে সবাইকে তাঁক লাগিয়ে দেন।




No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.